ডিজি বাংলা ১৮ জানুয়ারি (শনিবার),২০২৫: ঘটনা ঘটার প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পর অপরাধীর শাস্তি ঘোষণা হতে চলেছে। ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট হাড় হিম করা ঘটনা ঘটে আরজিকর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে। ওই রাতে আর জি কর মেডিকেল কলেজে পাঠরত এবং কর্তব্যরত পড়ুয়া-চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং পরে খুন করা হয়। এই নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে সারা রাজ্যের বিভিন্ন স্তরের মানুষ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। প্রতিবাদের ব্যাপকতা এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে প্রশাসন বাধ্য হয় আরজিকর হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ কে তার পদ থেকে সরিয়ে দিতে। পরবর্তীকালে সিবিআই দুর্নীতির অভিযোগে ওই প্রাক্তন অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে। চিকিৎসক- পড়ুয়াকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে রাজ্য পুলিশ গ্রেপ্তার করে সঞ্জয় রাই নামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে।
বিভিন্ন প্রমাণ সহ গত ৭ অক্টোবর ২০২৪, শিয়ালদা আদালতে অভিযুক্ত এবং ধৃত সঞ্জয় রাই এর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। চার নভেম্বর সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে চার্জ ফ্রেম করা হয় এবং সাত দিন পর ১১ নভেম্বর থেকে শুনানির কাজ শুরু হয়। শুনানির পর থেকে মোট ১২৮ জন সাক্ষীর বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং এদের মধ্যে ৫০ জন সাক্ষীকে কোর্টে উপস্থিত করা হয়েছে। অবশ্য ধৃত সঞ্জয় রাই প্রথম থেকেই বলে আসছে সে দোষী নয়, চক্রান্ত করে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। গত ৯ জানুয়ারি শিয়ালদা আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয় এবং সেই বিচার প্রক্রিয়ায় দোষী সাব্যস্ত হয় অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই। আজ চূড়ান্ত রায় জানাবেন বিচারক। সকলেই তাকিয়েছে সেই রায়ের দিকে।
