৭ লাখের জমি ৩৭ লাখে, পায়রাডাঙ্গা পঞ্চায়েতের জমি দুর্নীতি ফাঁস
ডিজি বাংলা ২২ জানুয়ারি ২০২৫: শ্মশান করতে হবে। জমি লাগবে। জমি কোথায়? সে ব্যবস্থাও হয়ে গেছে। কিন্তু দাম মূল্য কত? সমস্যাটা তৈরি হয়েছে সেখানেই। জনমানব শূন্য এলাকায় শ্মশান তৈরি হবে আর সেই শ্মশানের জন্য ৭০.৫ শতক জমি কেনা হয়েছে পাঁচ গুণ দাম দিয়ে ৩৭ লক্ষ টাকায়। আর এই নিয়ে শুরু হয়ে গেছে চাপানউতোর। ঘটনাটি ঘটেছে রানাঘাট ১ নং ব্লকের অধীন পায়রাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত। সূত্রের খবর বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোট ৩০ টি আসনের মধ্যে ১৩ টি তে জয় লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস, ৪ টি কংগ্রেস, ৯ টি সিপিএম এবং ৪ টি আসনে জয় লাভ করে বিজেপি। কোন দলই স্পষ্ট সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পাওয়াই লটারিতে প্রধান নির্বাচিত হয় তৃণমূল কংগ্রেসের ফাল্গুনী বিশ্বাস। জমির ক্রেতা পায়রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত আর যিনি বিক্রেতা তিনি হলেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই শিল্প পরিকাঠামো সঞ্চালক বিজয়েন্দু বিশ্বাস যিনি বর্তমানে কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। যে জমির বর্তমান বাজার মূল্য মেরে কেটে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা সর্বাধিক সেই জমি কেন পাঁচ গুণ বেশি দাম দিয়ে কেনা হলো এই প্রশ্ন উঠেছে দলের অভ্যন্তরে। সবচেয়ে বড় কথা যার কাছ থেকে জমি কেনা হয়েছে তিনি ওই পঞ্চায়েতেরই শিল্প পরিকাঠামো সঞ্চালক। এখন প্রশ্ন একজন জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে পঞ্চায়েত এভাবে কি জমি কিনতে পারে? আর এখানেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কোনরকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে কেন অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে জমি কেনা হলো সেই প্রশ্ন উঠেছে দলের অভ্যন্তরে। পায়রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নির্বাচিত সদস্যদের বক্তব্য যা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ স্বজন পোষণ। এটাকে কোনভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। যেখানে যেখানে জানাবার তারা সেখানে জানিয়েছে এবং এর বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কঠোর পদক্ষেপেরও দাবি জানিয়েছে ওই সমস্ত সদস্যরা।