জেলা

প্রতিশ্রুতিই সার, কেউ কথা রাখেনি। কান্না ভেজা কন্ঠে জানালো শহীদ সুদীপের বোন

ডিজি বাংলা ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: দিনটা ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সাল, ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালবাসা দিবস। দেশকে ভালবাসতে গিয়ে পাকিস্তানি জঙ্গি হামলায় শহীদ হলেন ৪২ জন ভারতীয় জওয়ান। এই ৪২ জন শহীদের মধ্যে একজন তরুণ শহীদ হলেন সুদীপ বিশ্বাস। তেহট্ট মহকুমার পলাশীপাড়া থানার অন্তর্গত হাঁসপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা সন্ন্যাসী বিশ্বাস এবং মমতা বিশ্বাসের একমাত্র সন্তান সুদীপ।
২০১৪ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদান করে সুদীপ। মাত্র পাঁচ বছর চাকরি করার পরেই জঙ্গি হামলায় নিহত হন এই যুবক। সুদীপের মৃত্যু সংবাদ পৌঁছানোর সাথে সাথে সমগ্ৰ এলাকায় সেদিন নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। সুদীপের বাবা মাকে সান্ত্বনা দিতে সেদিন হাঁসপুকুরিয়াতে উপস্থিত হয়েছিলেন সরকারি আধিকারিক থেকে শুরু করে শাসক-বিরোধী দলের অনেক নেতা নেত্রীরা। সকলেই সেদিন প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে শহীদ সুদীপের বোনকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল পুলওয়ামা ঘটনার তদন্ত করা হবে।
তারপর কেটে গেছে ৬টি বছর। জলঙ্গি-ভাগীরথী দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে বঙ্গোপসাগরে। কিন্তু সুদীপের পরিবার সেই তিমিরেই আছে। প্রতিশ্রুতি শুধু প্রতিশ্রুতিই রয়ে গেছে। তার বাস্তবায়ন হয়নি। সুদীপের বোনের প্রশ্ন আমরা তো সাহায্য চাইনি, সরকারের তরফ থেকেই সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কেনই বা প্রতিশ্রুতি দেওয়া আর কেনই বা সেই প্রতিশ্রুতি না রাখা এই প্রশ্নটাই আজ ঘুরে বেড়াচ্ছে সুদীপের মা-বাবা আর বোনের মনের মধ্যে।
গতকাল শহীদ সুদীপ বিশ্বাস এর বাড়িতে তার ছবিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানায় তার পরিবারের সদস্যরা এবং এলাকার বাসিন্দারা। সেখানেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সুদীপের বোন। কান্না ভেজা কন্ঠে শহীদের বোনের প্রশ্ন দেশকে ভালোবেসে কি পেল আমার ভাই?

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button