ব্যর্থ ছাত্র ধর্মঘট, ব্যাকপুটে এসএফআই
ডিজি বাংলা ৪ মার্চ ২০২৫: গত ১লা মার্চ শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসএফাআই এর সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত এবং নিগৃহীত হন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অভিযোগ ওই দিন শিক্ষামন্ত্রী ওয়েবকুপার একটি আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখার জন্য আমন্ত্রিত ছিলেন। আমন্ত্রণ রক্ষার উদ্দেশ্যে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছান এবং যখন তিনি বক্তব্য রাখছিলেন সেই সময় বেশ কিছু এসএফআইয়ের সমর্থক সভা মঞ্চে প্রবেশ করে এবং শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের মাঝখানে স্লোগান দিতে থাকে। শুধুমাত্র তাই নয় তারা তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেও অশ্লীল কথাবার্তা বলতে থাকে। শিক্ষামন্ত্রী যখন বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করতে চেষ্টা করে সেই সময় এসএফআই এর সমর্থকরা তার গাড়ির উপরে উঠে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে। জনৈক এসএফআই সমর্থক ইচ্ছাকৃত ভাবে শিক্ষা মন্ত্রীর গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে এবং আহত হয়। এই বিষয়টাকে কেন্দ্র করে শিক্ষামন্ত্রীকে হেনস্তা করে এসএফআইয়ের সদস্যরা। শুধুমাত্র হেনস্থা নয় তার উপরে প্রাণঘাতী হামলাও চালানো হয়, এমনই অভিযোগ করেছেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
গতকাল থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। অথচ এইরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার দিনে রাজ্য জুড়ে ধর্মঘট ডেকে সাধারণ মানুষের কাছে কি বার্তা দিতে চাইছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের রথি-মহারথীরা?
কলকাতা ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে কলেজে এসএফআই-এর সমর্থকরা ধর্মঘটের ডাক দেয় কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সমর্থন লাভে ব্যর্থ এসএফআই এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে যে তারা দফায় দফায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যের উপরে হামলা চালাবার চেষ্টা করে। একটা দল মানুষ যাদের ছুড়ে ফেলেছে তারা আবার রাস্তায় নেমে গুন্ডামি শুরু করেছে শুধুমাত্র খবরের টিকে থাকার জন্য, এমনটাই অভিযোগ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতির। এখন তো শূন্য, এরপর মহাশূন্যে পৌঁছে যাবে, পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম বলে কিছু থাকবে না, এসএফআই হারিয়ে যাবে এমনটাই মন্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রীর।