জাল ঔষধ বাড়ছে বাজারে, উদাসীন ড্রাগ কন্ট্রোল
ডিজি বাংলা ১২ মার্চ ২০২৫: রাজ্য রাজধানী থেকে শুরু করে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের বেশ কিছু ঔষধের দোকান থেকে নকল বা ভেজাল ঔষধ বিক্রি হচ্ছে। ওই সমস্ত জাল বা নকল ঔষধ খাওয়ার কারণে বাড়ছে জীবনের ঝুকি। নকল ওষুধ খাওয়ার কারণে রোগী সুস্থ্য হওয়ার পরিবর্তে আরও রোগাক্রান্ত হচ্ছেন। অসুস্থ মানুষ ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী দিনের পর দিন ওষুধ খাচ্ছেন অথচ সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে রোগীর অবস্থা দিনের পর দিন খারাপ হয়েই চলেছে। শুধু তাই নয় কখনো কখনো রোগিকে মৃত্যুর মুখোমুখিও হতে হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অভিমত নকল বা ভেজাল ঔষধ খাওয়ার কারণে মানুষের শরীরে ভয়ঙ্কর রোগ দানা বাঁধে। মানুষের শরীরের আভ্যন্তরীণ গুরুত্বপূর্ণ অংশ লিভার, কিডনি, হার্ট, ব্রেন থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অথচ সাধারণ মানুষ ঔষধের দোকান থেকে নির্দ্বিধায় ওষুধ কিনে নিয়ে আসছেন। তিনি কিন্তু ঘুনাক্ষরেও জানতে পারছেন না যে তিনি নিজের হাতে করে বিষ কিনে নিয়ে এলেন।
সম্প্রতি জেলা ড্রাগ কন্ট্রোল অফিস থেকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শহরের বেশ কয়েকটি দোকানে খানা তল্লাশি চালানো হয়। বিনা লাইসেন্সে দিনের পর দিন রোগী দেখা এবং ওষুধ বিক্রির অভিযোগে শক্তিনগর এলাকা থেকে এক দোকানীকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার দোকানটি সিল করে দেওয়া হয়। কিভাবে ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের চোখে ধুলো দিয়ে এভাবে ভেজাল ওষুধের এবং লাইসেন্স বিহীন দোকান দিনের পর দিন চালিয়ে যাচ্ছে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জেলা ড্রাগ কন্ট্রোল এর আধিকারিক প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান। শহরের বেশ কিছু নামী ঔষধের দোকানের মালিককে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা বলেন এখন ব্যাঙের ছাতার মতো ওষুধের দোকান গজিয়ে উঠেছে। অতিরিক্ত লাভের আশায় যে যেখান থেকে পারছে ওষুধ কিনে নিয়ে এসে বিক্রি করছে। অতিরিক্ত ছাড় দিচ্ছে। রোগীর ভালো-মন্দের কথা চিন্তা করছে না। ফলে আমরা যারা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী তারা মার খেয়ে যাচ্ছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খুচরা ওষুধ বিক্রেতা জানালেন অধিক লাভের আশায় তারা নকল ঔষধ বিক্রি করেন। তবে তারা সাধারণত জীবনদায়ী ওষুধ বিক্রি করেন না। সাধারণ সেই সমস্ত ঔষধ বিক্রি করেন যেগুলি খেলে রোগীর উপকার হয়তো হবে না কিন্তু ক্ষতি হবার কোন সম্ভাবনা নেই।