ডিজি বাংলা ১৮-০৪-২৩:- কৃষক বিদ্রোহ বা নীল বিদ্রোহের অন্যতম নেতা ছিলেন নদীয়ার সুসন্তান মেঘাই সর্দার। তারই নেতৃত্বে একদিন কৃষকরা সংঘবদ্ধ হয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল তৎকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে। তারই স্মৃতি রক্ষার্থে নদীয়া জেলা পরিষদের উদ্যোগে কৃষ্ণনগর ১ নম্বর ব্লকে ভীমপুর সন্নিকটে চাঁদপুর গ্ৰামে তৈরি হল মেঘাই সর্দারের মূর্তি। এর জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি নদীয়া বাসী।উল্লেখ্য,আঠেরো শতকের মাঝামাঝি সময়ে এই কৃষক বিদ্রোহ সংগঠিত হয় বাংলাজুড়ে। ভারতে আগত নীলকর সাহেবরা বিভিন্ন অঞ্চলে নীল চাষিদের অল্প টাকার বিনিময়ে নীল চাষ করাত। অনিচ্ছুক চাষের উপরে অকথ্য অত্যাচার করে তাদেরকে বাধ্য করা হতো এই নীল চাষ করতে। এই অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গিয়েই নীলচাষিরা সঙ্ঘবদ্ধ হন। নীলকর সাহেবদের বিরুদ্ধে নীল বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এই বিদ্রোহের অন্যতম নেতা ছিলেন নদীয়ার মেঘাই সর্দার। ভীমপুর বাজার থেকে পলদা নদীর দিকে তিন কিলোমিটার দূরে চাঁদপুর গ্রাম।এই চাঁদপুরের আদিবাসী পাড়ার মাধবীতলায় রয়েছে মেঘাই সর্দারের সমাধিস্থল। এবার প্রশাসনের উদ্যোগে সেখানেই নীল বিদ্রোহের নেতা মেঘাই সর্দারের স্মরণে মূর্তি তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এব্যাপারে নদীয়া জেলা পরিষদের সচিব সৌমেন দত্ত বলেন, “মেঘাই সর্দার একজন বিপ্লবী, বাংলা মায়ের একজন সুসন্তান,নদীয়ার ইতিহাসে এক অন্যতম চরিত্র। ইতিহাসের পাতায় তিনি আজও উজ্জ্বল এক নক্ষত্র। কিন্তু অনেকেই তাঁর কথা জানেন না। এবার মেঘাই সর্দারের স্মরণেই মূর্তি বানানো হয়েছে।আজ সেই বিপ্লবী মহানায়কের মূর্তির উদ্বোধন হবে।” উদ্বোধক হিসেবে অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্রীমতি রিক্তা কুন্ডু সহ নদীয়া জেলা পরিষদ এবং নদীয়া জেলা প্রশাসন তৎসহ কৃষ্ণনগর ১নং পঞ্চায়েত সমিতির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা।
Leave a Comment