উৎসবে কোনো খামতি নেই,একের পর এক পুজো উদ্বোধন করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী

ডিজি বাংলা ৭ অক্টোবর: আর জি কর হাসপাতালে নৃশংসতম ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মুখর হয়েছিল সারা বাংলার অসংখ্য মানুষ। মানুষের এই প্রতিবাদ আন্দোলন ছিল স্বতঃস্ফূর্ত।ন্যায় বিচার চেয়ে অসংখ্য মানুষ রাতের পর রাত মিছিল করেছিল। এই প্রতিবাদ এবং গণ-আন্দোলন চলার মাঝেই বেশ কিছু বাম এবং অতি বাম রুপালি পর্দার নায়ক নায়িকা আন্দোলন মঞ্চে এসে বাংলার মানুষকে উৎসব থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানায়। শুরু হয় বিতর্ক। কিছু মানুষ উৎসবের বিপক্ষে গিয়ে বাংলার অসংখ্য গরিব মানুষের রুজি রোজগার বন্ধ করার এক গভীর চক্রান্তে লিপ্ত হয়। অন্যদিকে রাজ্য প্রশাসন সাধারণ মানুষের কাছে উৎসবে ফিরে আসার আহ্বান জানায়। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সকলের উদ্দেশ্যে উৎসব পালনের কথা বলেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এবছর পূজো অনুদান ১০ হাজার টাকা বাড়িয়ে দেয় ৮৫ হাজার টাকা করে দেয়। ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ প্রশমিত হতে থাকে। মানুষ উৎসবমুখী হয়। দোকানে বাজারে ভিড় বাড়তে শুরু করে শপিংমল গুলিতে তিল ধারনের জায়গা নেই।আসলে শারদীয়া দুর্গোৎসব বাংলার প্রতিটি মানুষের রক্তের সাথে মিশে আছে। এই উৎসব উপেক্ষা করার ক্ষমতা কোনো বাঙালির নেই। স্বভাবতই সেই বাম অতি বাম বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতারা আজকে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন বাংলায় উৎসব উৎসবের জায়গায় থাকবে,ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলন চলছে চলবে। উৎসব পালনের সাথে ন্যায় বিচারের দাবীর কোন সংঘাত নেই।