বেসরকারি প্লান্টের জল গুণগত মানে কতটা স্বাস্থ্যকর?

ডিজি বাংলা ২ ডিসেম্বর ২০২৪: “জলের আরেক নাম জীবন” অথচ এই জলই দায়ী জীবনহানির জন্য। নদীয়া জেলার বিভিন্ন ব্লকে সাধারণ নলকূপের জলে পাওয়া যায় মাত্র অতিরিক্ত আর্সেনিক। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে এই জল পান করতে নিষেধ করা হয়। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ”বিশুদ্ধ পানীয় জল” বিক্রির নামে মানুষের সাথে করছে চূড়ান্ত প্রতারণা।
নদীয়া জেলার বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে তৎসহ পৌর এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে বেসরকারি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। এই সমস্ত প্ল্যান্ট গুলি সাবমার্সিবল পাম্প এর সাহায্যে যথেচ্ছ ভাবে ভূগর্ভস্থ জল তুলে ২০ লিটারে/১০ লিটারের প্লাস্টিক জারে ভর্তি করে বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করছে। এই সরবরাহকৃত জল আদৌ বিশুদ্ধ কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি সাধারণ মানুষ এই সমস্ত প্লান্টে গিয়ে সরজমিন তদন্তেরও দাবি জানিয়েছে। প্রতিটি গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রতিটি সংসদে সরকারি প্রকল্পে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে। তারপরেও কিভাবে এই সমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে দিনের পর দিন জলের ব্যবসা করে যাচ্ছে সে নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। গ্রামের মানুষ এই সমস্ত জার ভর্তি জল কিনে খাচ্ছে। অথচ জারের গায়ে কোনরকম লেবেল নেই। জলে কোন কোন রাসায়নিকের মাত্রা কি পরিমানে আছে সে বিষয়েও কোন তথ্য নেই। অর্থাৎ এক কথায় এই জল সরকারিভাবে পরীক্ষিত নয়। কিভাবে,কাদের অঙ্গুলী হেলনে সরকারি আধিকারিকদের নাকের ডগায় এই সমস্ত বেসরকারি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট গুলি চলছে?
সবচেয়ে বড় কথা এইভাবে যদি অবৈধভাবে দিনের পর দিন ভূগর্ভস্থ জল তুলে ফেলা হয় তাহলে আগামী দিনে জল সংকট তীব্র আকার ধারণ করবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।