ডিজি বাংলা ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪: উচ্চশিক্ষায় সেমিস্টার প্রথা চালু হয়েছে অনেকদিন। এবারে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সাথে সাথে প্রাথমিক স্তরেও চালু হতে চলেছে সেমিস্টার পদ্ধতি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী শিক্ষা বর্ষ থেকেই শুরু হবে ক্রেডিট বেসড সেমিস্টার পদ্ধতি। দুটি পর্যায় ভাগ করে এই সেমিস্টার পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। প্রথম সেমিস্টার হবে জানুয়ারি থেকে জুন এবং দ্বিতীয় সেমিস্টার হবে জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিটি সেমিস্টারেই ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যায়ন করা হবে। তবে পাশ ফেল প্রথা থাকছে না।
সংসদ সূত্রে আরও জানা গেছে সারা বছরে প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণীতে ক্লাস হবে ৩৭৬ ঘন্টা এবং তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ক্লাস হবে বছরে ৬৫০ ঘন্টা।
প্রথম সেমিস্টারের মূল্যায়ন হবে ছাত্র-ছাত্রীর ক্লাসে উপস্থিতি, ক্লাসে প্রশ্নের উত্তর কেমন দিচ্ছে, পড়ুয়ার জ্ঞান অর্জনের ক্ষমতা প্রভৃতি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে। প্রথম সেমিস্টারের মূল্যায়ন হবে ৪০ নম্বরে।
দ্বিতীয় সেমিস্টারে থাকবে লিখিত পরীক্ষা। ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে এবং এই লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। নতুন পদ্ধতিতে পড়ানোর ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সমস্যা দেখা দিতে পারে এমন বললে পর্ষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, নতুন পদ্ধতিতে পড়ানোর জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ট্রেনিং দেওয়া হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এই সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে শিক্ষক মহলে। অনেকেরই প্রশ্ন প্রাথমিক স্কুলগুলিতে এমনিতেই শিক্ষকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। পরিকাঠামোগত সমস্যাও আছে। সেই পরিস্থিতিতে এই পদ্ধতি কতটা সফল হবে সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
