বছরের প্রথম দিনেই ভ্রমণার্থীর ঢল নামলো নবদ্বীপ-মায়াপুরে।
ডিজি বাংলা ২ জানুয়ারি ২০২৫: পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রে মায়াপুর এবং নবদ্বীপের নাম সবার উপরে থাকে। ২০২৫ সালের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের দিন সেই মায়াপুর এবং নবদ্বীপে পর্যটকদের ঢল নামলো। সারাদিন ধরে আনন্দ উৎসবে মাতোয়ারা থাকলো সমগ্র মায়াপুর। নবদ্বীপ এবং মায়াপুর মূলত বাংলার ভক্তি আন্দোলনের প্রাণপুরুষ মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের জন্মস্থান, শিক্ষা ক্ষেত্রে এবং লীলাভূমি। নবদ্বীপ বৈষ্ণব এবং শাক্ত ধর্মের পূণ্যভূমি ।এই দুটি শহরই পুণ্যার্থী এবং ভ্রমণার্থী সমাগমে ছিল জমজমাট। অসংখ্য মানুষকে দেখা গেল সপরিবারে মন্দির দর্শন করছেন, অসংখ্য যুগলকে দেখা গেল নির্জনে প্রেমালাপে মত্ত, আবার কাউকে দেখা গেল ইসকনের ভিতরের পার্কে রিলস বানাতে ব্যস্ত। একটু দূরেই গঙ্গাপাড়ে দেখা গেল অসংখ্য মানুষ বনভোজনে মত্ত।
শুধু মায়াপুর ইসকন মন্দির নয়, পাশাপাশি প্রচুর ভিড় দেখা গেল বামন পুকুরের বল্লাল দিঘির ঐতিহাসিক স্থানে, চাঁদকাজীর সমাধিস্থলে। ১২ নং জাতীয় সড়ক ধরে মায়াপুরের মোড় থেকে মায়াপুরে প্রবেশের রাস্তা দু’ধারে দেখা গেল দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য টুরিস্ট বাস, ছোট গাড়ি। দূর দূরান্ত থেকে অসংখ্য ভ্রমন পিপাসু মানুষ ছুটে এসেছে মায়াপুরে।
নবদ্বীপের চিত্রটা একটু হলেও ভিন্ন। এখানে ভ্রমণার্থী থেকে পুণ্যার্থীর সংখ্যা বেশি। তার একটি কারণ নবদ্বীপ মূলত মন্দির শহর। এখানকার বিখ্যাত বুড়ো শিব মন্দির, জল মন্দির, পোড়ামা তলা প্রভৃতি জায়গাগুলি হিন্দু ধর্মের মানুষের কাছে অত্যন্ত পুণ্যের জায়গা। এই শীতের সকালেও অসংখ্য পুণ্যার্থীদের দেখা গেল পবিত্র গঙ্গায় স্নান করে সিক্ত বসনে মন্দিরে পুজো দিতে। একেই বোধহয় বলে পূণ্য ভ্রমণ।