ত্রিপুরায় মন্ত্রী বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি, প্রতিবাদ সিপিএমের, সমর্থন কংগ্রেসের
ডিজি বাংলা ১৭ জানুয়ারি (শুক্রবার),২০২৫: কমবেশি ৬ বছরের ব্যবধানে ত্রিপুরা রাজ্যের মন্ত্রী বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি হল দুবার। ২০১৮ সালে তৎকালীন সিপিএম সরকারকে উৎখাত করে ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবের নেতৃত্বে সরকার গঠন করে ভারতীয় জনতা পার্টি। ২০১৯ সালে রাজ্যের মন্ত্রী এবং বিধায়কদের বেতন ও ভাতা বৃদ্ধি হয়। সেই সময় ত্রিপুরা সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর বেতন ধার্য হয় ৫২,৬৩০ টাকা এবং অন্যান্য মন্ত্রী, অধ্যক্ষ এবং বিরোধী দলনেতার বেতন ধার্য হয়েছিল ৫১,৭৮০ টাকা। তার সাথে ছিল অন্যান্য সমস্ত রকমের সুযোগ সুবিধা।
সম্প্রতি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী, বিধানসভার অধ্যক্ষ, বিরোধী দলনেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রিপরিষদের সমস্ত সদস্য এবং বিধায়কদের বেতন ও ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মন্ত্রী ও বিধায়কদের বেতন ও ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিলে বলা হয়েছে এবার থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বেতন হবে ৯৭,০০০ হাজার টাকা, সেইসঙ্গে অন্যান্য সমস্ত রকমের সুযোগ সুবিধা। উপমুখ্যমন্ত্রীর বেতন হবে ৯৬,০০০ হাজার টাকা এবং সেই সাথে অন্যান্য সমস্ত কোন সুযোগ সুবিধা। রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রী, বিধানসভার অধ্যক্ষ, বিরোধী দলনেতা, মুখ্য সচেতক এরা প্রত্যেকেই ৯৫,০০০ হাজার টাকা বেতন পাবেন। শুধু বেতন বৃদ্ধি নয় সেই সাথে বৃদ্ধি করা হয়েছে বিধায়কদের অবসরকালীন পেনশন। বর্তমানে বিধায়করা পেনশন পেতেন ৩৪,৫০০ টাকা কিন্তু বর্ধিত পেনশনের পরিমাণ হবে প্রায় দ্বিগুণ ৬৬,০০০ হাজার টাকা। পারিবারিক পেনশনেরও বৃদ্ধি ঘটানো হয়েছে। বর্তমানে ২৫,০০০ হাজার টাকা পারিবারিক পেনশন বৃদ্ধি পেয়ে হচ্ছে ৪৮,০০০ হাজার টাকা।
রাজ্য মন্ত্রিসভার এই পেনশন বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে বিরোধিতা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএম বিধায়ক জিতেন্দ্র চৌধুরী। সিপিএম এর পক্ষ থেকে মন্ত্রী বিধায়কদের এই বেতন বৃদ্ধি সিদ্ধান্তকে সমর্থন না করলেও কংগ্রেস এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে। কংগ্রেস দলের বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন মন্ত্রী বিধায়কদের এই বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে বলেন কেউ যদি মনে করেন তিনি বর্ধিত আর্থিক সুযোগ-সুবিধা নেবেন না তাহলে তিনি সেটা ছাড়তেই পারেন। পাশাপাশি তিনি প্রস্তাব দেন বিলে সংশোধনী এনে সেই ব্যবস্থা রাখা হোক।