ডিজি বাংলা ৩ জানুয়ারি ২০২৫ [শুক্রবার] : গতকাল নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠক চলাকালীন সময় মালদার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা ইংলিশ বাজার পৌরসভার টানা ৩০ বছরের কাউন্সিলর দুলাল সরকার ওরফে বাবলা সরকারের খুনের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভার মাঝেই তিনি মালদার পুলিশ সুপারের উদ্দেশ্যে বলেন পুলিশ সুপারের অপদার্থতার কারণেই খুন হতে হলো তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী তথা তৃণমূল কাউন্সিলর বাবলা সরকারকে। তৃণমূল কাউন্সিলর বাবলা সরকারের উপর আগেও দুষ্কৃতকারীরা হামলা চালিয়েছিল। তার পরেও কেন তার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকালই নিজের বাড়ির কাছে দুষ্কৃতকারীর হাতে গুলি বিদ্ধ হয়ে খুন হন বাবলা সরকার।এই খুনের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই নড়ে চড়ে বসে মালদা জেলা পুলিশ। শুরু হয়ে যায় চিরুনি তল্লাশি। শেষমেষ গ্রেফতার করা হয় দুই সুপারী কিলারকে যাদের একজন বিহারের বাসিন্দা এবং অন্যজন ইংলিশ বাজারের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
কি কারনে এই তৃণমূল নেতা খুন হলেন সে বিষয়ে পুলিশের কাছে আপাতত স্পষ্ট কোন খবর নেই। দুলাল বাবু রাজনীতি করলেও পেশায় ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। দুলাল বাবুর মূল ব্যবসা ছিল প্লাইউডের। এই ব্যবসার পাশাপাশি তিনি প্রোমোটারি ব্যবসার সাথেও যুক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। এই খুনের পিছনে ব্যবসায়িক শত্রুতা নাকি রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা, না দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, কোনটা? সেটা খুঁজে বের করাই এখন পুলিশের মূল কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
