echo (""); error_reporting(0); “বিশ্ব জল দিবস উপলক্ষে পথে নামল ছাত্রছাত্রীরা” - Digi Bangla
Uncategorized

“বিশ্ব জল দিবস উপলক্ষে পথে নামল ছাত্রছাত্রীরা”

ডিজি বাংলা ২৩-০৩-২৩:–বিশ্ব জল দিবস উপলক্ষে জল সংরক্ষণের শপথ নিল নদীয়া জেলার প্রায় ৭০ টি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। ২২ মার্চ ২০২৩ পালিত হলো “বিশ্ব জল দিবস”। নদীয়া জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের অসংখ্য ছাত্রছাত্রী পায়ে হেঁটে গ্রামে গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষকে বোঝালো জলের গুরুত্ব। ছাত্রছাত্রীদের সাথে মিছিলে যোগ দিলেন গ্রামের মহিলারাও। ২০২৩ সালে বিশ্ব জল দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল “জল ও স্বাস্থ্যের সংকট সমাধানে পরিবর্তন ত্বরান্বিত করা”। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে পরিবর্তনের উদাহরণ হয়ে ওঠার আহ্বান জানিয়েছে “জাতি সঙ্ঘ।” জাতি সঙ্ঘের সুরে সুর মিলিয়ে এক সপ্তাহ ধরে জল সংরক্ষণ নিয়ে নিজেদের ভাবনা তুলে ধরেছে নদীয়া জেলার ৭০ টিরও বেশি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। কেউ ছবি এঁকেছে,কেউ লিখেছে সৃজনশীল গদ্য। ছবিতে,কথায় ফুটে উঠেছে জল সংরক্ষণের শপথ থেকে জল চুরি রুখতে সজাগ হওয়ার আহ্বান। জল অপচয়ের ভয়ংকর পরিণতিও তুলে ধরেছে ছাত্রছাত্রীরা।এবার প্রচার চালালো পথে নেমে। জল জীবন মিশনের কাজে রাজ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে নদীয়া জেলা। আগামী দিনে এই জেলাকে সজল জেলা ঘোষণা করা হবে। গ্রামে গ্রামে নলবাহিত পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে দিনরাত এক করে পরিশ্রম করে চলেছেন জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তরের আধিকারিকরা। এদিনও ছাত্রছাত্রীদের সাথে রাস্তায় নামেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। জলসংরক্ষণ বিষয়ে বিদ্যালয় স্তরে প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থানাধিকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরষ্কার। সংবর্ধনা জানানো হয় নদীয়া জেলার ‘ওয়াটার চ্যাম্পিয়ান’দেরও। জেলায় জল সংরক্ষণ সচেতনতা নিয়ে লাগাতার প্রচার চালাচ্ছেন এই ওয়াটার চ্যাম্পিয়ানরা।একহাতে রঙিন বেলুন অন্য হাতে জল সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতামূলক স্লোগান লেখা পোস্টার,ব্যানার নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের দেখা যায় গ্রামের পথে মিছিল করে সাধারণ মানুষকে জল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে।জল সংরক্ষণ করা,পরিশ্রুত পানীয় জল পান করা,জল পরীক্ষা করা, জল অপচয় রোধ করার মতো কাজে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের আধিকারিকরা। ছাত্রীরা বলছে,”ছোট ছোট পরিবর্তন বড় পার্থক্য তৈরী করতে পারে। সামগ্রিকভাবে সমাজের উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হয়। আমাদের এই ছোট্ট উদ্যোগ যদি কয়েজনকেও প্রভাবিত করতে পারে, তার গুরুত্ব অনেকটাই।”

About the author

Deb Chakraborty

Leave a Comment